ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় তিনদিনে ১৬ করোনা রোগী শনাক্ত

মোঃ ফারুক, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় গত তিনদিনে ১৬ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আশঙ্খাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্ল্যাহ করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেছেন। এছাড়াও রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

এবিষয়ে পেকুয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুজিবুর রহমান বলেন, গত ৩ দিনে ১৬ জন রোগী শনাক্ত হওয়া মানে অবস্থা খুব খারাপ। বর্তমানে রোগীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে হোম আইসোলেশন ও তাদের শারিরীক অবস্থার আপডেট নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান ও সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধিমতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্লাহ বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে গত ৩ দিনে পেকুয়া উপজেলায় ১৬ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে মগনামার ৮ নং ওয়ার্ডে ৪ জন সহ বারবাকিয়ার ৪ ও ৬ নং ওয়ার্ড এর সবজিবন পাড়ায় ৮ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আজ জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির মিটিং করা হয়েছে। করোনা পজিটিভ যারা তাদেরকে হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করছেন। অধিক সংক্রমিত এলাকায় মাইকিং করা হবে। এবং পজিটিভ রোগীদের ঠিকানা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক হোম আইসোলেশন তদারকি করা হবে।

এছাড়াও পেকুয়া থানা পুলিশকে এক্ষেত্রে পজিটিভ রোগীদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করার জন্য তদারকি বাড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে৷

এতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ মাস্ক পরিধান করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

এদিকে পেকুয়ায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশিরভাগ এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে বিশিষ্টজনেরা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এম দিদারুল করিম চকরিয়া নিউজকে বলেন, বিগত কয়েকমাস ধরে পেকুয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা স্থানীয়রা। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধিকে অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন মিছিল মিটিং ও সভা সমাবেশ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার কারণে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মানা না হলে করোনার প্রকোপ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে লকডাউনেরও কথা চিন্তা করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের।

পাঠকের মতামত: